রাই কিশোরীঃ কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস ৩১শে ডিসেম্বর মধ্য চীনের উহান শহর থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি। আর মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৭ জনের। এসময়ের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ ৮৬ হাজার। সেই থেকে অদ্যবধি কোভিড ১৯ বা করোনাভাইরাসের এখনও কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় বিশ্বব্যাপী মানুষ সংক্রমণের ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছে।
এ ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুর মতো আক্রান্তের তালিকায়ও শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৩ লাখের কাছাকাছি মানুষ। এরপর ধারাবাহিকভাবে রয়েছে স্পেন, ইতালি, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রাজিল, তুরস্ক, ইরান ও চীন। বিশ্বের প্রায় সব মহাদেশেই ছড়িয়ে গেছে এ মহামারি।
করোনা ভাইরসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া প্রসঙ্গে আনন্দম ইনস্টিটিউট অফ যোগ এণ্ড যৌগিক হসপিটাল এর পরিচালক যোগী পিকেবি প্রকাশ(প্রমিথিয়াস চৌধুরী) বলেন, যদি শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, তবে এই করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করেও আক্রমণ করতে পারবে না। এজন্য প্রয়োজন আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এন্টিবডি তৈরি করা।
আরও জানুনঃ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান
তিনি আরও বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উপায় প্রোটিন জাতীয় খাদ্য। ইহা রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি যোগায়। ভিটামিন সি মানবদেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি-ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে ভিটামিন বি১২ দারুণ কার্যকর। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে রক্তে শ্বেতকণিকার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এজন্য জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
যৌগিক চিকিৎসায় প্রতিরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উষ্ণ পানিতে লবণ মিশিয়ে নাক দিয়ে টেনে মুখ দিয়ে ফেলে দিন কিংবা এক নাক দিয়ে টেনে অন্য নাক দিয়ে ফেলে দিন। তাহলে নাকের গোরায় জমে থাকা জীবাণু বেড়িয়ে যাবে। নাক দিয়ে ঈদুষ্ণ লবণ পানি পানের মাধ্যমেএই ভাইরাস মরে যাবে। প্রতিদিন একবার এই উপায় অবলম্বন করিলে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কাছে গেলেও আপনাকে আক্রমণ করিতে পারিবে না।
পাশাপাশি প্রতিদিন পানিতে আদা, তুলসী পাতা, কাঁচা হলুদ, লবঙ্গ ও গোল মরিচ পনের মিনিট ফুটিয়ে একটু সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে একাধিক বার পান করুন। এতে শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। করোনা আক্রান্ত হলেও ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে। রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠবে। আর যদি পান করতে না পারে তবে দিনে ২/৩ বার নাকে-মুখে গরম পানির বাষ্প/ভাপ নিলে ধীরে ধীরে শ্বাস কষ্ট উপশম হবে। পাশাপাশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার ও কিছু ব্যায়াম ও প্রাণায়াম করলে তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে যাবে।
যোগী পিকেবি প্রকাশ আরও বলেন, একমাত্র প্রাণায়াম, নেতি ক্রিয়া ও নাসাপান এর মাধ্যমে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ঔষধ ছাড়া সুস্থ্য থাকার পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেনঃ যোগী পিকেবি প্রকাশ(প্রমিথিয়াস চৌধুরী), মেইলঃ yogabangla@gmail.com। ফেইসবুক: https://www.facebook.com/promithias