স্থূলতা বা মেদরোগ: মেদ আমাদের শরীরের উত্তাপ রক্ষা করে। দেহযন্ত্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহায়ক, তেমনি আবার অতিরিক্ত চর্বি দেহযন্ত্র পরিচালনায় বিশেষভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। কোন ঔষধ ছাড়া কিছু যোগাভ্যাস ও খাদ্যবিধি মেনে নিজেই দূর করুন মেদ রোগ।
মেদের কুফলঃ অতিরিক্ত চর্বি সঞ্চয়ের জন্য হৃদযন্ত্রের স্নায়ু-পেশী, ফুসফুসের স্নায়ু-পেশী সঠিকভাবে সক্রিয় থাকিতে পারে না- এইজন্য মেদবহুল দেহধারীরা সহজেই রক্তচাপ বৃদ্ধি রোগ, হৃদরোগ প্রভৃতিএ আক্রান্ত হয়। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মানুষেরা স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ-বর্জন করিতে পারে না। শরীরের রক্তধারাও স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হইতে পারে না। দেহের গ্রন্থিগুলি দুর্বল হয়ে পরিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। দেহ তখন সমস্ত রোগাক্রমণের উপযোগী হয়ে উঠে। এজন্য মেদরোগীরা স্বাস্থ্য-সুখ ও দীর্ঘায়ু লাভ করিতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ হাঁচি-কাশি-মুখের থুথুর ড্রপলেট এর মাধ্যমেই ছড়ায় করোনা
কারণঃ শারীরিক পরিশ্রমহীনতা, দিবা-নিদ্রা, অতিরিক্ত মাছ-মাংস, প্রয়োজনাতিরিক্ত দুধ-ঘি খাদ্যগ্রহণে অতিরিক্ত চর্বি সঞ্চিত হইয়া দেহ মেদরোগাক্রান্ত হয়।
যৌগিক চিকিৎসা বিধিঃ
ভোরেঃ সহজ বস্তিক্রিয়া, অগ্নিসার ধৌতি ১ নং ১০ বার, ২ নং ৪ বার, ভ্রমণ প্রাণায়াম
সন্ধ্যায়ঃ মকরাসন ৪ বার, যোগমুদ্রা ৮ বার, জানুশিরাসন ৪ বার, পশ্চিমোত্তান ৪ বার, সর্বাঙ্গাসন ৩ মিনিট, মৎস্যাসন ১ মিনিট, শীর্ষাসন বা শশাঙ্গাসন ৩ মিনিট, সহজ প্রাণায়াম ১, ২,৩,৪ প্রত্যেকটি ২ মিনিট।
খাদ্য বিধিঃ
ভোরে একগ্লাস জলে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করিবে। ক্ষুধা থাকিলে কাঁচা পাকা রসালো ফল।
দুপুরেঃ ভাতের সঙ্গে শাক-সবজী, সম্ভব হলে একপোয়া ঘোল।
বিকেলেঃ ক্ষুধা থাকিলে টক ফল।
রাতে শাক-সবজীসহ ২/১খানা রুটি, এক কাপ পাতলা দুধ এবং সম্ভব হইলে কিছু কিসমিস আধাঘন্টা ভিজিয়ে খাবে।
ঔষধ ছাড়া সুস্থ্য থাকার পরামর্শের জন্য ফেইসবুক যোগবাংলা গ্রুপে যুক্ত থাকুন (https://www.facebook.com/groups/yogabangla) ও সুস্থ থাকার গুরুত্বপূর্ণ টিপস পেতে ফেইসবুক যোগবাংলা পেইজ এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।