logo

নাক পরিষ্কারের মাধ্যমেই ভাইরাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব -যোগী পিকেবি প্রকাশ

দেহের ৯০ ভাগ রোগজীবাণু নাক দিয়ে প্রবেশ করে তাই নাক পরিষ্কারের মাধ্যমে ভাইরাস ঘটিত রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।  বলেছেন আনন্দম্‌ ইনস্টিটিউট অভ যোগ এণ্ড যৌগিক হস্‌পিটাল এর পরিচালক যোগী পিকেবি প্রকাশ(প্রমিথিয়াস চৌধুরী)।

তিনি বলেন, আমাদের দেহে রোগ প্রবেশের প্রধান দু’টি দরজা হলো নাক ও মুখ। আমরা মুখ ব্যবহার করি শুধু খাওয়া ও কথা বলার সময় তাই এই পথে রোগ জীবাণু প্রবেশের সুযোগ একটু কম। নাক হচ্ছে অবধারিত দ্বার, বেঁচে থাকতে হলে ইচ্ছে করেও নাক বন্ধ রাখতে পারিনা। এজন্য শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ রোগই নাক দিয়ে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে; বিশেষ করে ভাইরাস ঘটিত।

তিনি আরও বলেন, ভাইরাস নাক দিয়ে ঢুকেই দেহে উৎপাত সৃষ্টি করে না। প্রথমে নাকের গোড়ায়, কিছু পরে গলায়, সর্বশেষ বুকে ও পেটে প্রবেশ করে। শুরুতেই অর্থাৎ নাকের গোড়ায় আসার সময় যদি নাক পরিষ্কার করা যায় তবেই এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

কোথাও বাইরে গিয়ে কিংবা বাড়ীতে ফিরে ভালো করে হাত মুখ পরিষ্কার করে, নাক দিয়ে জল টেনে মুখ দিয়ে ফেলে দিন, তবেই নাকের গোরায় জমে থাকা জীবাণু বেড়িয়ে যাবে। এই ভাইরাস একমাত্র লবাণাক্ত জলে মরে যায়। যদি ঈদুষ্ণ জলের সাথে একটু লবণ মিশিয়ে নাক পরিষ্কার করা সবচাইতে উত্তম।

করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাস্ক পরেই ভাইরাসের জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন, কারণ হাচি কাশি হলে জীবাণু মাস্কের ভিতরে থেকে যায় এতে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা আরো বেশি। একমাত্র প্রাণায়াম, নেতি ক্রিয়া ও নাসাপান এর মাধ্যমে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

ঔষধ ছাড়া সুস্থ্য থাকার পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেনঃ যোগী পিকেবি প্রকাশ(প্রমিথিয়াস চৌধুরী), মেইলঃ yogabangla@gmail.com। ফেইসবুক: https://www.facebook.com/promithias