হৃদরোগঃ শরীরে রোগবিষ সঞ্চিত হইয়া রক্তাদি রস ধাতুকে দূষিত হয়ে হৃদযন্ত্রে প্রবেশ করিয়া হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে হৃদরোগের সৃষ্টি হয়। আমাদের সাড়ে তিন হাত শরীরে ৫ ইঞ্চি লম্বা ও সাড়ে তিন ইঞ্চি প্রশস্ত ক্ষুদ্র হৃদযন্ত্রটি দেহ পরিচালনার প্রধান ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের সহিত দেহ-কারখানার সমস্ত কিছুর যোগসূত্র রহিয়াছে। এই যন্ত্রটি দেহের সর্ব্বোচ্চস্থান মস্তিস্কপ্রদেশ হইতে পদাঙ্গুষ্ঠ পর্যন্ত দেহের সর্বত্র বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে।
চিকিৎসাঃ
ভোরেঃ ৪০০মিলি লিটার ঈষৎ গর পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান।
সকালেঃ সহজ অগ্নিসার, ভ্রমণ প্রাণায়াম, যোগমুদ্রা, পবনমুক্তাসন, ভ্রমণ প্রাণায়াম ও সহজ প্রাণায়াম।
দুপুরেঃ স্নানে বসিয়া সহজ অগ্নিসার ৩০ বার, সহজ প্রাণায়াম ৩ ও ৭ প্রত্যেকটি দুই মিনিট। অগিসার ধৌতি ১ নং ১০ বার।
বিকালেঃ ভ্রমণ প্রাণায়াম।
সন্ধ্যায়ঃ পবণ মুক্তাসন, সহজ প্রাণায়াম ১,২,৩; সহজ অগ্নিসার ৩০বার, ভ্রমণ প্রাণায়াম।
রোগাক্রন্ত অবস্থায় শবাসনে শ্বাস-প্রশ্বাসের তালে তালে শ্বাস ত্যাগ ও শ্বাস গ্রহণ ইচ্ছাপূর্বক একটু দীর্ঘ করিবে তাহা হইলে অল্প সময়েই শ্বাস কষ্ট লাঘব হইবে। একখানি ভিজা তোয়াল বুকের উপর রাখিবে। ১৫/২০মিনিট অন্তর ঐ ভিজা তোয়ালের শীতলতার স্পর্শে হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক স্পন্দন দ্রুত হ্রাস পাইবে।
খাদ্যবিধিঃ
হৃদরোগীর একসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
সকালেঃ নিষিদ্ধ
দুপুরেঃ অল্প পরিমানে গ্রহণ করিবে।
বিকেলেঃ রসালো ফল
রাতেঃ দুধ ও ফল ছাড়া(কলা বাদে) অন্যকোন খাদ্য গ্রহণ করিবে না।
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ যোগী পিকেবি প্রকাশ, পরিচালক, আনন্দম্ ইনস্টিটিউট অব যোগ এণ্ড যৌগিক হস্পিটাল। মেইলঃ yogabangla@gmail.com