logo

ঈদুষ্ণ লবণ পানি দিয়ে নাক পরিষ্কারেই করোনা প্রতিরোধ -যোগী পিকেবি প্রকাশ

বিশ্ব জুড়েই ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা গ্রুপের কোভিড-১৯ ভাইরাস। পুরো বিশ্বেই এই ভাইরাস রোধে নানা সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। তার পরেও এই ভাইরাস সম্পর্কে ও ভাইরাস থেকে তৈরি হওয়া অসুখ নিয়ে এখনও নানা বিভ্রান্তি রয়েছে।

ন্যাশভিল-এর ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম শ্যাফনারের মতে, রোগাক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশির ড্রপলেট বায়ুতে ঘুরে বেড়ায়। রোগীর কাছাকাছি থাকা সুস্থ মানুষের নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে তার শরীরে প্রবেশ করে এই ড্রপলেট। শরীরে এসেই ভাইরাসের অণুগুলো দ্রুত নাসাপথের পিছন দিকে বা গলার ভিতরের দিকে মিউকাস মেমব্রেনের ভিতরে গিয়ে সেখানকার কোষে হানা দেয়।

শিকাগো স্কুল অব মেডিসিনের প্যাথোলজি বিভাগের অধ্যাপক সু-ইউয়ান জিয়াও চিনের করোনা-আক্রান্ত রোগীদের রিপার্ট পরীক্ষা করেন। তাঁর মতে, ফুসফুসের দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অঞ্চলে আক্রমণ করে উপরের শ্বাসানালী ও ট্রাকিয়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস।

গবেষক কম্পটন ফিলিপের মতে, তেমন সরলীকরণ করলে ভুল হবে। মিউকাস মেমব্রেনের পথ ধরেই এই ভাইরাস ছড়ায়। তাই নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে তা মিউকাস মেমব্রেন ধরে এগোতে এগোতে পায়ুদ্বার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। পথে যে কোনও অংশেই চালাতে পারে করোনা-সন্ত্রাস। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমেও এই ভাইরাস হানা দেয়। তখন জ্বর-সর্দি-কাশির সঙ্গে ডায়েরিয়া বা বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। রক্তবাহেও প্রবেশ করতে পারে এই জীবাণু।

আনন্দম্‌ ইনস্টিটিউট অভ যোগ এণ্ড যৌগিক হস্‌পিটাল এর পরিচালক যোগী পিকেবি প্রকাশ(প্রমিথিয়াস চৌধুরী) বলেন, আমাদের দেহে রোগ প্রবেশের প্রধান দু’টি দরজা হলো নাক ও মুখ। আমরা মুখ ব্যবহার করি শুধু খাওয়া ও কথা বলার সময় তাই এই পথে রোগ জীবাণু প্রবেশের সুযোগ একটু কম। নাক হচ্ছে অবধারিত দ্বার, বেঁচে থাকতে হলে ইচ্ছে করেও নাক বন্ধ রাখতে পারিনা। এজন্য শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ রোগজীবাণুই নাক দিয়ে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে; বিশেষ করে ভাইরাস ঘটিত।

যোগী পিকেবি প্রকাশ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ প্রসঙ্গে বলেন, শরীরে এসেই ভাইরাসের অণুগুলো নাক, মুখ দিয়ে দ্রুত নাসাপথের পেছন দিকে বা গলার ভিতরের দিকে মিউকাস মেমব্রেনের ভিতরে গিয়ে সেখানকার কোষে হানা দেয়। আবার চোখের মাধ্যেমে প্রবেশ করে চোখের অশ্রুগ্রন্থির সঙ্গে মিশে গিয়ে এই ভাইরাস নেত্রনালীতে চলে যায়। পরে তা সরাসরি নাকে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে শ্বাসতন্ত্রে গিয়ে সংক্রমণ শুরু করে। এরপর মিউকাস মেমব্রেনে হানা দিলেই তখন হয়ে যায় গ্রাহক বা রিসেপ্টর কোষ। তাই নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে তা মিউকাস মেমব্রেন ধরে এগোতে এগোতে পায়ুদ্বার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।

অর্থাৎ নাক মুখ কিংবা চোখ দিয়ে প্রবেশ করে মিউকাস মেমব্রেণে সংক্রমণ ঘটানোর পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। ফলে লক্ষণ প্রকাশ পেতে চার পাঁচ দিন লেগে যায়। তাই শুরুতেই অর্থাৎ নাকের গোড়ায় আসার সময় যদি নাক পরিষ্কার করা যায় তবেই এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

কোথাও বাইরে গিয়ে কিংবা বাড়ীতে ফিরে ভালো করে হাত মুখ পরিষ্কার করে, উষ্ণ লবণ মেশানো পানি নাক দিয়ে টেনে মুখ দিয়ে ফেলে দেই। এক নাক দিয়ে টেনে অন্য নাক দিয়ে ফেলে দেই। অথবা নাক দিয়ে পান করা।  তবেই নাকের গোরায় জমে থাকা জীবাণু বেড়িয়ে যাবে। এই ভাইরাস একমাত্র উষ্ণ লবাণাক্ত পানিতে মরে যায়।

করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাস্ক পরেই ভাইরাসের জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন, কারণ হাচি কাশি হলে জীবাণু মাস্কের ভিতরে থেকে যায় এতে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা আরো বেশি। একমাত্র প্রাণায়াম, নেতি ক্রিয়া ও নাসাপান এর মাধ্যমে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

ঔষধ ছাড়া সুস্থ্য থাকার পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেনঃ যোগী পিকেবি প্রকাশ(প্রমিথিয়াস চৌধুরী), মেইলঃ yogabangla@gmail.com। ফেইসবুক: https://www.facebook.com/promithias