আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি প্রথমে পাকস্থলীতে গিয়ে পাচকরস, যকৃতের পিত্তরস প্রভৃতির সাহায্যে অর্ধজীর্ণ হয়ে উর্ধ্ব অন্ত্রে জমা হয়। বিভিন্ন পাচক রস, পিত্তরসের সাহায্যে এই অর্ধজীর্ণ খাদ্যকে Pancreas বা অগ্নাশয়ের পাচকপিত্তের সহায়তায় সম্পূর্ণ জীর্ণ করিবার ব্যবস্থা করে। এই খাদ্য সম্পূর্ণ জীর্ণ না হলে পচিয়া বিষাক্ত হয়ে উঠে অন্ত্রের পথ অবরুদ্ধ করিয়া বায়ু চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
এই অজীর্ণ খাদ্যকে মলনাড়ীও মলরূপে দেহ হইতে বাহির করিতে পারে না। তখন উহা রক্তের মাঝে ছড়াইয়া পরে রক্ত বিষাক্ত হয়ে যায়। তখন এই বিষাক্ত রক্ত শোধন করিবার জন্য প্লীহা, যকৃৎ, মূত্রগ্রন্থি(কিডনি), ফুসফুস প্রভৃতিকে অত্যধিক পরিশ্রম করিতে হয়।
দেহস্থ স্নায়ুগুলিও তখন আর স্বীয় কার্য পালনে সক্ষম হয় না, অবসাদগ্রস্থ হইয়া পড়ে। তখন সমস্ত দেহ ব্যাপিয়াই একটা বিশৃঙ্খলা চলিতে থাকে। দীর্ঘদিন এই রোগ থাকিলে অম্লশূল, পিত্তশূল, পাকস্থলীর ক্ষত, অন্ত্রক্ষত, মূত্র পাথুরী, পিত্ত পাথুরি, প্রভৃতি নানা সমস্যা দেখা দিবে।
ঔষধ ছাড়াই এসব রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ভোরেঃ সহজ বস্তিক্রিয়া, উড্ডীয়ান, অগ্নিসার ধৌতি, সহজ প্রাণায়াম ও ভ্রমণ প্রাণায়াম। অতঃপর বমন ধৌতি বা বারিসার ধৌতি।
বিকালেঃ ভ্রমণ প্রাণায়াম।
সন্ধ্যায়ঃ অগ্নিসার ধৌতি, শয়নপশ্চিমোত্তান, পবনমুক্তাসন, সর্বাঙ্গাসন, সহজ প্রাণায়াম এবং সহজ অগ্নিসার ৩০বার।
খাদ্য বিধিঃ
বুকজ্বালা, গলা জ্বালা ও অম্লশূলের বেদনা বা উহার সহিত জ্বর বিদ্যমান থাকিলে ততক্ষণ শুধুমাত্র ঈষৎ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করিবে। কমে গেলে শীতল পানি পান করিবে। অম্লরোগীদের পিপাসা কম থাকে, তাই পিপাসা না থাকিলেও দৈনিক কমপক্ষে ৬/৮গ্লাস পানি পান করিবে।
সকাল ও বিকালে যদি হালকা নাস্তার প্রয়োজন হয় তবে এক গ্লাস জল কিংবা টকজাতীয় বা মিষ্টিজাতীয় রসাল ফল গ্রহণ করিবে।
শাকসব্জি না খেয়ে ঝোল, ফলের রস ও ঘোল খাবে।
নিষেধঃ ঘি, মাখন, তৈল প্রভৃতি চর্বি জাতীয় খাদ্য, মাংস, ডিম, ছানা, ছানার তৈরি খাদ্যাদি সন্দেশ, রসগোল্লা, মিষ্টি-মিঠাই, ঘিয়ে ভাজা খাদ্য, অতিরিক্ত তৈল-মশলা জাতীয় খাদ্য, দধি, ঘন ডাল প্রভৃতি গুরুপাক খাদ্য।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেনঃ যোগী পিকেবি প্রকাশ(প্রমিথিয়াস চৌধুরী), মেইলঃ yogabangla@gmail.com।