রাই কিশোরীঃ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে চলছে বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা। প্রতিরোধে প্রতিরোধে প্রধানত দু’টি ব্যবস্থা। প্রথমতঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা। দ্বিতীয়তঃ প্রত্যেকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেম বাড়িয়ে তোলা।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সহজে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তাই শরীরে করোনা প্রতিরোধে খেতে হবে এমন কিছু খাবার যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যেহেতু এই ভাইরাসের এখনও কোনো টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি, তা প্রতিরোধ এর একমাত্র ব্যবস্থা।
আরও জানতে পড়ুনঃ ঔষধ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিরাময় করার উপায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উপায় প্রোটিন জাতীয় খাদ্য। ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১২, প্রোবায়োটিকস দারুণ কার্যকর।
প্রোটিন সমৃদ্ধ কিছু সাধারন খাবার হল ডিম, দুধ, কুমড়োর বিজ, মাছ, চিনাবাদাম, শিমের বিচি, মটরশুঁটি, যেকোনো ধরনের ডাল ইত্যাদি। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার টক জাতীয় ফল যেমন- লেবু, কমলা, আমলকী, মাল্টা, জাম্বুরা, পেয়ারা, কুল, লিচু, পেঁপে, লাল মরিচ, সবুজ মরিচ, সরিষা শাক ইত্যাদি। জিংক জাতীয় খাবার হচ্ছে আদা, রসুন, ডাল, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, শাকসবজি, শস্য জাতীয় খাবার, বীজ জাতীয় খাবার, দুগ্ধ জাতীয় খাবার ইত্যাদি। ভিটামিন ১২ জাতীয় খাবার হচ্ছে- পনির, ডিম, দুধ, কম চর্বিযুক্ত দই ইত্যাদি। প্রোবায়োটিকস যুক্ত খাবার হচ্ছে- টক দই, আচার, পনির, ডার্ক চকলেট, সয়া দুধ প্রভৃতি।
এছাড়া ঘি ও মধু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কালোজিরা মধুর সঙ্গে খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে কখনই ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। ভাইরাস যদি ফুসফুসে বেশ চেপে বসে তাহলে আপনার শ্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়া হতে পারে।
এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম, প্রাণায়াম, নেতিক্রিয়া, নাসাপান এসব ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।