logo

আনন্দলোকের দক্ষিণ বঙ্গ প্রধান কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সেবা, কর্মমুখী শিক্ষা, মানবাধিকার সহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজে আনন্দলোক ফাউন্ডেশনের দক্ষিণ বঙ্গের প্রধান কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্থ স্থাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

আজ ১২ মার্চ শুক্রবার বরিশালের আগৈলঝাড়া থানাধীন পশ্চিম গোয়াইলে আনন্দলোক ফাউন্ডেশনের ভিত্তি প্রস্থ স্থাপন করা হয়েছে।

আনন্দলোক এর চেয়ারম্যান যোগী পিকেবি প্রকাশ(প্রমিথিয়াস চৌধুরী) বলেন, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আনন্দলোক ফাউন্ডেশনের সেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম ঢাকায় বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে চলছে। দক্ষিণ বঙ্গে এই সেবা কার্যক্রম চালানোর উদ্দেশ্যে আমরা এই ভবন নির্মাণ কার্য শুরু করলাম।

https://thenewse.com/wp-content/uploads/land-worship.jpg

https://thenewse.com/wp-content/uploads/Anandalok-feast.jpg

বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা, আশ্রয়হীনের আশ্রয়, শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান, ছেলেমেয়েদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো, দরিদ্রদের কুটির শিল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা। আনন্দলোকের ট্যাগ লাইন আনন্দলোকে আনন্দে জীবন।

আজকের ভিত্তিপ্রস্ত স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মুকুন্দ লাল মুন্সী, বিশেষ অতিথি কর্মসংস্থান ব্যংক বানারীপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক ভীষ্মদেব বাড়ৈ, আগৈলঝাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা, দ্যা নিউজের সহ সম্পাদক ও গৌরনদী প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজিত সরকার বিপ্লব, দৈনিক আজকের বরিশাল এর গৌরনদী প্রতিনিধি মোঃ কামাল হোসেন লিটন, দ্যা নিউজের আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি আমিও কর। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আদিত্য মন্ডল, প্রাণকৃষ্ণ হালদার, অগ্রজ কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেড এই সভাপতি বাপ্পী হালদার, সুনীল হালদার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দনা বিশ্বাস সহ স্থানীয় ব্যক্তি বর্গ।

প্রমিথিয়াস চৌধুরীর বাবা গনেশ চৌধুরী বলেন, আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিল। মা মরা একমাত্র ছেলের ভালো রেজাল্ট দেখে ভাবতাম চাকুরী করবে, ভালো চাকুরী পেয়েও করেনি। কিন্তু ধীরে ধীরে ওর কাজের ব্যাপারে বুঝতে পারছি, যখন চারিদিকে ওর নাম জয় জয়কার শুনি তখন বাবা হিসেবে গর্বে বুক ভরে ওঠে। তখন বুঝতাম না এখন ওর কর্মকান্ড নিয়ে গর্ববোধ করি। ওর মঙ্গল হোক সেই কামনা করি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ভীষ্মদেব বাড়ৈ বলেন, এখানে এসে আমার খুব মনে পড়ছে শান্তিনিকেতনের কথা রবীন্দ্রনাথ এর বাবা শান্তিনিকেতনে এর জায়গা কিনেছিল। রবীন্দ্রনাথ সেখানে শান্তিনিকেতন বানিয়েছে। এখানে প্রমিথিয়াস দাদার বাবা জায়গা দিয়েছে, দাদা শুরু করেছে, আমরা পাশে থেকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাব।